ব্যথা নিজে কোনো রোগ নয়, এটি অসুখের লক্ষণ

ছবি:সংগৃহীত

 

ডা. মোহাম্মদ আলী: শহরাঞ্চল বিশেষ করে ঢাকা শহরের বেশির ভাগ মানুষ অফিসে কাজ করেন। আবার বেশির ভাগের কাজের ধরন বসে থাকা। তাই শহরাঞ্চলে ঘাড় বা কোমর ব্যথার রোগীর পরিমাণ বেশি। বসে থাকার ফলে আমাদের ঘাড় পিঠ বা কোমরের মাংসপেশিগুলো স্থবির হয়ে যায়। ফলে সামান্যতেই ঘাড়ে বা কোমরে টান লাগে।

ঘাড় ব্যথার ধরন-

প্রথমে অল্প অল্প ব্যথা থেকে তীব্র ব্যথা শুরু হতে পারে আবার হঠাৎ তীব্র ব্যথা শুরু হতে পারে। অনেকের ব্যথা কেবল ঘাড়েই সীমাবদ্ধ থাকে। অনেকের ব্যথা ঘাড় থেকে হাতে চলে যায়। হাত ঝিঁ ঝিঁ ধরে। অনেকের মাথা ঘোরে অথবা পিঠের দিকে ব্যথা চলে যায়।

 

অফিসের কাজ, বিশেষ করে যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন অথবা সামনে ঝুঁকে কাজ করেন তারাই এই ব্যথায় বেশি ভোগেন। ব্যথা শুরুর পর অনেকেই বিশ্রাম নিতে পারেন না বা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করেই ওষুধ সেবন করে ব্যথা দমিয়ে রাখেন। প্রথমদিকে ব্যথানাশক ওষুধ কাজ করলেও পরে আর কাজ করে না এবং ব্যথা তীব্র হয়ে থাকে।

 

কোমর ব্যথার ধরন-

যারা দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসে কাজ করেন তাদের কোমরে ব্যথা বেশি হয়। অনেক সময় ব্যথা কোমর থেকে পায়ে চলে যায়। হাতের মতো পায়েও ঝিঁ ঝিঁ ধরে। বসে দাঁড়িয়ে এমনকি শুয়ে থাকতেও সমস্যা হয়। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের ব্যথা বেশি তীব্র হয়। ব্যথা বেশি তীব্র হলে হাঁটাচলা এমনকি অফিসও বন্ধ করে দিতে হয়।

 

কি করণীয়-

মনে রাখা প্রয়োজন, ব্যথা নিজে কোনো রোগ নয়, রোগের লক্ষণ। তাই কোনো ব্যথাকেই অবহেলা করা যাবে না। ব্যথার ওষুধ খেয়ে অল্প অল্প ব্যথা দমিয়ে রাখলে তা পরে তীব্র আকার ধারণ করে আপনাকে আরও বেশি বিপদে ফেলে দিতে পারে। তাই ব্যথার কারণ নির্ণয়পূর্বক প্রযোজ্য চিকিৎসা; ইলেকট্রোথেরাপি, ম্যানিপুলেটিভ থেরাপি বা আইপিএম শুরু করা উচিত।

 

সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক ব্যায়াম করতে হবে। এছাড়া একটি কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীদের ব্যথার ওষুধ সেবনে যথেষ্ঠ সতর্ক হতে হবে।

লেখক: চিফ কনসালট্যান্ট, এইচপিআরসি, উত্তরা, ঢাকা।

সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো সুপারিশের কার্যকারিতা নেই, জল ঘোলা করার চেষ্টা হচ্ছে: মন্ত্রী

» এমপি নিক্সন চৌধুরীর বাসায় প্রধানমন্ত্রী

» আরো জনশক্তি নেবে সৌদি আরব

» ৫১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউই পাস করেনি

» উপজেলা নির্বাচন দলগতভাবে নির্বাচন হলে ভোটার উপস্থিতি সহজ হতো: নানক

» ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেলের চালক নিহত

» বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মির, নিহত ১ পুলিশ

» সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা ধরে রেখে জনগণকে বন্দি করে রেখেছে : রিজভী

» বিশ্বের সব মায়েদের শ্রদ্ধা জানালো ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল

» প্রতিশ্রুত সেবা না দিলে অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ব্যথা নিজে কোনো রোগ নয়, এটি অসুখের লক্ষণ

ছবি:সংগৃহীত

 

ডা. মোহাম্মদ আলী: শহরাঞ্চল বিশেষ করে ঢাকা শহরের বেশির ভাগ মানুষ অফিসে কাজ করেন। আবার বেশির ভাগের কাজের ধরন বসে থাকা। তাই শহরাঞ্চলে ঘাড় বা কোমর ব্যথার রোগীর পরিমাণ বেশি। বসে থাকার ফলে আমাদের ঘাড় পিঠ বা কোমরের মাংসপেশিগুলো স্থবির হয়ে যায়। ফলে সামান্যতেই ঘাড়ে বা কোমরে টান লাগে।

ঘাড় ব্যথার ধরন-

প্রথমে অল্প অল্প ব্যথা থেকে তীব্র ব্যথা শুরু হতে পারে আবার হঠাৎ তীব্র ব্যথা শুরু হতে পারে। অনেকের ব্যথা কেবল ঘাড়েই সীমাবদ্ধ থাকে। অনেকের ব্যথা ঘাড় থেকে হাতে চলে যায়। হাত ঝিঁ ঝিঁ ধরে। অনেকের মাথা ঘোরে অথবা পিঠের দিকে ব্যথা চলে যায়।

 

অফিসের কাজ, বিশেষ করে যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন অথবা সামনে ঝুঁকে কাজ করেন তারাই এই ব্যথায় বেশি ভোগেন। ব্যথা শুরুর পর অনেকেই বিশ্রাম নিতে পারেন না বা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করেই ওষুধ সেবন করে ব্যথা দমিয়ে রাখেন। প্রথমদিকে ব্যথানাশক ওষুধ কাজ করলেও পরে আর কাজ করে না এবং ব্যথা তীব্র হয়ে থাকে।

 

কোমর ব্যথার ধরন-

যারা দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসে কাজ করেন তাদের কোমরে ব্যথা বেশি হয়। অনেক সময় ব্যথা কোমর থেকে পায়ে চলে যায়। হাতের মতো পায়েও ঝিঁ ঝিঁ ধরে। বসে দাঁড়িয়ে এমনকি শুয়ে থাকতেও সমস্যা হয়। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের ব্যথা বেশি তীব্র হয়। ব্যথা বেশি তীব্র হলে হাঁটাচলা এমনকি অফিসও বন্ধ করে দিতে হয়।

 

কি করণীয়-

মনে রাখা প্রয়োজন, ব্যথা নিজে কোনো রোগ নয়, রোগের লক্ষণ। তাই কোনো ব্যথাকেই অবহেলা করা যাবে না। ব্যথার ওষুধ খেয়ে অল্প অল্প ব্যথা দমিয়ে রাখলে তা পরে তীব্র আকার ধারণ করে আপনাকে আরও বেশি বিপদে ফেলে দিতে পারে। তাই ব্যথার কারণ নির্ণয়পূর্বক প্রযোজ্য চিকিৎসা; ইলেকট্রোথেরাপি, ম্যানিপুলেটিভ থেরাপি বা আইপিএম শুরু করা উচিত।

 

সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক ব্যায়াম করতে হবে। এছাড়া একটি কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীদের ব্যথার ওষুধ সেবনে যথেষ্ঠ সতর্ক হতে হবে।

লেখক: চিফ কনসালট্যান্ট, এইচপিআরসি, উত্তরা, ঢাকা।

সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com